সূচীপত্র

1. জবরদখল

2.হাতির করিডোর

3.বিল্ডিং নির্মাণের অনুমোদন

ঈশা যোগ সেন্টার দ্বারা কোনও ভূমি দখল বা হাতির করিডোরে অনুপ্রবেশ করা হয়নি: RTI-এর উত্তরে তামিলনাড়ু সরকারের প্রতিক্রিয়া

আরও পড়ুন

1. জবরদখল

CAG রিপোর্টে ঈশাকে "বনাঞ্চল অনধিকার-দখল মুক্ত করা" বিভাগে উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও বলা হয়েছে :

"সরকার উত্তর দিয়েছে (নভেম্বর 2017) যে ঈশার স্থান গুলি TBGP (তামিলনাড়ু জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সবুজায়ন প্রকল্প) -এর আওতায় পড়ে না। এই উত্তরটি যথার্থ নয় কারণ এই প্রকল্পে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (GPS) -এর সাহায্যে জিও রেফারেন্সিং অবস্থানের সীমানা চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে সম্পদ সুরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করা অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং এটি বুলুভামপট্টি গ্রামেও প্রয়োগ করা হয়েছিল যা কোয়েম্বত্তূর ডি.এম.ইউ -এর অংশ ছিল।

তামিলনাড়ু বন বিভাগ নিজেই তার কাউন্টার এফিডেভিটে দাখিল করে স্পষ্টভাবে বলেছেন যে:

  • ঈশা দ্বারা রিজার্ভ ফরেস্ট (RF) এলাকায় কোনও দখল করা হয়নি বা  ঈশা ফাউন্ডেশন রিজার্ভ ফরেস্ট (RF) সীমানার কোনও লঙ্ঘন করেনি।
  • মাননীয় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের কাছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক তার কাউন্টার এফিডেভিটে বলেছে যে ঈশা দ্বারা রিজার্ভ ফরেস্ট (RF) এলাকায় কোনও দখল করা হয়নি বা  ঈশা ফাউন্ডেশন রিজার্ভ ফরেস্ট (RF) সীমানার কোনও লঙ্ঘন করেনি।

এই সমস্ত উপসংহার কোয়েম্বত্তূর অঞ্চলের আঞ্চলিক বন সংরক্ষকের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই করা।

ঈশা যোগ সেন্টারটি ব্যক্তিগত পাট্টা জমির উপর নির্মিত হয়েছে যা ব্যক্তিবিশেষের কাছ থেকে বৈধভাবে কেনা হয়েছে।

2. হাতির করিডোর

CAG রিপোর্টে বলা হয়েছে, "হাতি সংরক্ষণ এলাকা (এলিফ্যান্ট রিজার্ভ) -এ নগরায়ন: বিল্ডিংগুলি বুলুভামপট্টি বন সংরক্ষিত এলাকায় ছিল, যা হাতির করিডোর/বাসস্থান হিসাবে পরিচিত।"

তামিলনাড়ু বন বিভাগ কর্তৃক দাখিল করা কাউন্টার এফিডেভিট বা প্রতি-হলফনামায় তামিলনাড়ু বন বিভাগ কোথাও উল্লেখ করেননি যে ঈশা হাতির করিডোরে রয়েছে।

মাননীয় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল, সাউদার্ন জোন, চেন্নাই -এর সামনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক তার কাউন্টার এফিডেভিট বা প্রতি-হলফনামাতেও কোথাও উল্লেখ করেননি যে ঈশা হাতির করিডোরে রয়েছে।

প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট (পি.সি.সি.এফ) একটি RTI-এর উত্তর দেওয়ার সময় তামিলনাড়ুর হাতির করিডোরের তালিকায় ঈশা বা ঈশার কাছাকাছি কোনও অঞ্চলের উল্লেখ করেননি।

গাজাহ রিপোর্ট (Gajah Report) - পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের “এলিফ্যান্ট টাস্ক ফোর্স” -এর রিপোর্টে কোথাও বলা হয়নি যে ঈশা হাতির করিডোরে রয়েছে।

দ্য রাইট অফ প্যাসেজ – ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (ডব্লিউ.টি.আই) দ্বারা ভারতের হাতির করিডোর -এও ঈশা যে অঞ্চলে রয়েছে সেটি একটি হাতির করিডোর বলে কোথাও তা উল্লেখ করেনি।

হাতি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কাজ করা বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা স্পষ্টভাবে বলেছেন যে ঈশা ফাউন্ডেশন হাতির করিডোরের কাছাকাছি কোথাও নেই।

ঈশা হাতির রিজার্ভে নেই বা এটি হাতির করিডোরের কাছাকাছি কোথাও নেই।

এমনকি তামিলনাড়ু বন বিভাগ কর্তৃক দাখিল করা কাউন্টার এফিডেভিটেও বলা হয়েছে যে ঈশা ফাউন্ডেশনের আধিকারিকদের সাথে কিছু ছোটোখাটো মতবিরোধের কারণে এই অভিযোগগুলি করা হয়েছে।

3. বিল্ডিং অনুমোদন

CAG রিপোর্ট বলছে "... HACA-এর অনুমোদন মুলতুবি ছিল (জুলাই 2017)।"

2017 সালের মার্চ মাসে, HACA ঈশা ফাউন্ডেশনের সমস্ত বিল্ডিংকে অনুমোদন দেয় এবং মে মাসে, তামিলনাড়ু টাউন এবং কান্ট্রি প্ল্যানিং দ্বারা প্রযুক্তিগত ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।

CAG তার রিপোর্টে এই সমস্ত তথ্যকে উপেক্ষা করেছে।