কল্কি অবতার: মহাপ্রলয়ের সংকেত ! When Will Kalki Avatar Arrive

কল্কি – ভগবান বিষ্ণুর দশম ও চূড়ান্ত অবতার – এবং মানব চেতনার জন্য তার আগমনের গভীর তাৎপর্য নিয়ে সদগুরু আলোচনা করেন। তিনি যুগগুলির মধ্যে কলিযুগের গুরুত্ব এবং মানব বুদ্ধিমত্তার উপর একটি যৌগিক দৃষ্টিকোণ প্রদান করেন ।

এটি একটি বিশেষ সময় যা প্রতিদিন ভোরের আগেই ঘটে, সাধারণত 3:20 থেকে 3:40 এর মাঝামাঝি সময়ে। এই সময়ে ধ্যান, প্রার্থনা বা আধ্যাত্মিক কার্যকলাপ খুব ফলপ্রসূ হয়। এই সময়কে ব্রহ্ম-মূহূর্ত বলা হয় কারণ এটি সৃষ্টিকর্তার সময় হিসেবে ধরা হয় এবং এই সময়ে মানসিক শান্তি ও আধ্যাত্মিক শক্তির বৃদ্ধি ঘটে।

ইতিহাসবিদ এবং লেখক ড. বিক্রম সম্পথের সাথে এক কথোপকথনে, সদগুরু মধ্যযুগীয় শাসক যেমন আওরঙ্গজেব, টিপু সুলতান এবং বখতিয়ার খলজির অত্যাচার সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে নতুন নির্বাচিত নেতাদের উচিত অত্যাচারীদের নামে রাখা রাস্তাঘাট ও শহরের নাম পরিবর্তন করা, যারা নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে, মন্দির ধ্বংস করেছে এবং গণহত্যা করেছে।

সদগুরু যৌন আকর্ষণ এবং ভালবাসা সম্পর্কে একটি প্রশ্নের উত্তরে রুনানুবন্ধ এবং নিজের দেহের অখণ্ডতা বজায় রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তাঁর বক্তব্যে তিনি ব্যাখ্যা করেন বলেন যে, রুনানুবন্ধ হলো এক ধরনের কর্মের বন্ধন যা মানুষের মধ্যে গঠিত হয় বিভিন্ন দৈন্দিন কাজের মাধ্যমেই, বিশেষ করে যৌন সঙ্গমের মতো কোনও কাজে। এই বন্ধনগুলি আমাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে এবং আমাদের মানসিক ও শারীরিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলে। সদগুরু জোর দিয়ে বললেন আমাদের দেহের অখণ্ডতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আমাদের ব্যক্তিগত ও আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য।