মহর্ষি ব্যাস একটি অতিপরিচিত নাম এবং ভারতীয় ঐতিহ্যর একজন কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব। প্রাচীন মহাকাব্য মহাভারত, যেটি দীর্ঘতম লিখিত কবিতা - তাঁকে এর রচয়িতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে এতে তাঁরও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

সদগুরু কর্ম যোগ প্রক্রিয়ার গুরুত্ব, আধ্যাত্মিক পথে এর ভূমিকা এবং কীভাবে একজন সাধক কর্মকে আধ্যাত্মিক বিকাশের উপায় হিসাবে ব্যবহার করে চলতে পারেন সে ব্যাপারে আলোচনা করছেন।

সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন যে কিভাবে কর্ম, নিষ্পাদিত কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বরং কাজের পেছনে যে অভিপ্রায় থাকে তার সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা যদি কোনো পরিস্থিতিতে যেমন প্রয়োজন শুধুমাত্র সেভাবে কাজ করি তাহলে কোন কর্ম সৃষ্টি হয় না। পড়তে থাকুন।

সদগুরু কখনই স্কুলের পাঠ্যক্রমকে নিজের শিক্ষার পথে বাধা হতে দেননি। সেজন্যই শিক্ষা সম্পর্কিত তার বিভিন্ন উদ্যোগের ক্ষেত্রে সর্বদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অনুপ্রেরণার উপর, কোন মতাদর্শে দীক্ষিত করা নয়। এটা কখনই তথ্য জড়ো করার বিষয়ে নয় বরং উপলব্ধির ক্ষমতা বাড়ানো। নীচে এই বিষয়ে তাঁর দেওয়া কয়েকটি উদ্ধৃতি রয়েছে।

কি করবেন যখন ঘরে বন্দী আর টিভি দেখতে ও নেট সার্ফ করতে একঘেয়ে লাগছে? সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন - কেমন ভাবে একঘেয়েমি সারাবেন।

একজন সাধক ছোটখাটো আশা-আকাঙ্ক্ষায় ভারাক্রান্ত হয়ে তাঁর হতাশা প্রকাশ করছেন। সদগুরু বলছেন, সমস্যাটি হল এই যে, আমরা তাৎক্ষণিক এবং চূড়ান্তকে পৃথক করার চেষ্টা করছি। তিনি ব্যাখ্যা করে বলছেন যে, আমাদের আশেপাশের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জিনিসটি থেকে সবচেয়ে বড় জিনিসটি পর্যন্ত সবকিছুর সাথেই সৃষ্টির উৎস সমানভাবে জড়িত।

সদগুরু একজন সাধককে বলছেন যিনি আধ্যাত্মিক পথে হতাশ বোধ করছেন এবং এক জায়গায় আটকে আছেন মনে করছেন।

৩ রা সেপ্টেম্বর সদগুরুর জন্মদিন! ধ্যানলিঙ্গ প্রাণ- প্রতিষ্ঠার তিন বছর পর ২০০২ সালে ঈশা যোগা সেন্টারে সদগুরু যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন তার একটি অংশ এখানে রইল।

আজকাল হপ্তাশেষের ছুটির জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকার যে রেত্তয়াজ চলছে, তার সাথে সদগুরু তাঁর বাবা ভারতীয় রেলের চিকিৎসক হিসেবে নিজের কাজের প্রতি যে নিরন্তর নিষ্ঠা দেখিয়েছলেন তার তুলনা করছেন।

স্বামী নিরাকারের 'ঈশা যোগা'-র সাথে প্রথম পরিচয় সেই ১৯৯২ সালে, প্রায় ৩০ বছর আগে। এতগুলো বছর ধরে সদগুরুর কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা যে কেমন,তা অনুভব করাতে তিনি আমাদের বেশ সুন্দর ভাবে সেই পুরনো দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

সদগুরুর সাথে এক প্রশ্ন-উত্তর পর্বে একজন প্রশ্নকর্তা তাঁর সাধনায় গভীরভাবে মনোসংযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন। সদগুরু ব্যাখ্যা করে বলেন যে স্বাভাবিকভাবে মনোযোগী হওয়ার জন্য তাকে প্রথমে গভীর ভাবে মগ্ন হতে হবে।

সদগুরু জীবনের মাঝবয়সের সংকট নিয়ে একটি প্রশ্নের উত্তর দেন, এবং জীবন কীভাবে এক নিত্য পরিবর্তনের প্রক্রিয়া তা নিরীক্ষণ করেন।

যেহেতু ভারতের বেশিরভাগ বড় শহরগুলি প্রবল বৃষ্টির কবলে পড়ে , আমরা চেন্নাই থেকে মুম্বাই পর্যন্ত রাস্তাগুলিতে বন্যার দৃশ্য দেখি। সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন, কিভাবে সমস্যার মূল কারণের প্রতিবিধান করে শহরে বন্যা প্রতিরোধ করা যায়।

নতুন বছরে পা দিতে কি আপনি উচ্ছ্বাসিত ? নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হতে ও নতুন সম্ভাবনার অনুসন্ধান করতে কি আপনি প্রস্তুত? সদগুরুর দেওয়া এই পাঁচটি সাধন সুনিশ্চিত করবে যাতে আপনি স্পষ্টতা ও দূরদর্শিতা দিয়ে নতুন বছরে পদার্পন করতে পারেন ।

কর্মক্ষেত্রে নতুন বসের সাথে মানিয়ে নেওয়া কি একটা যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার হতেই হবে? এধরনের পরিস্থিতিকে সামাল দেবার সেরা উপায় সম্পর্কে সদগুরু তাঁর একটি অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সামনে তুলে ধরছেন।