কর্মের উৎস
সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন যে কিভাবে কর্ম, নিষ্পাদিত কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বরং কাজের পেছনে যে অভিপ্রায় থাকে তার সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা যদি কোনো পরিস্থিতিতে যেমন প্রয়োজন শুধুমাত্র সেভাবে কাজ করি তাহলে কোন কর্ম সৃষ্টি হয় না। পড়তে থাকুন।
প্রশ্ন: সদগুরু, আপনি আমাদের অনেকবার বলেছেন যে আমাদের জীবনে তিক্ত অভিজ্ঞতা, নিজেদের অতীত কার্যকলাপের কারণে ঘটে। আজকের দিনে আমাদের কি ধরণের কাজ করা উচিৎ যাতে ভবিষ্যতে তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দূরে থাকতে পারি?
আপনি যদি আমাকে বা আমার শিক্ষাকে একটু গ্রহণ করেন তখন নিজের ইচ্ছেটা সরে যায় সুতরাং আপনি যা প্রয়োজন কেবল তাই করেন। সচেতনতা বলতে সেটাই বোঝায়; সেখানে কোনো অভিপ্রায় নেই। যেখানে কোনো অভিপ্রায় নেই সেখানে কর্মও নেই। গ্রহণ মানে আপনি শুধু যেটা দরকার সেটাই করছেন। অপরিসীম দায়িত্ব বলতে বোঝায় আপনার কোনো কিছু সম্পর্কে কোনো বাছাই নেই। প্রত্যেকটি পরিস্থিতিতে, আপনি আপনার সচেতনতা অনুযায়ী যেটা জরুরী বলে মনে করেন, আপনার সামর্থ্য মতো শুধু সেটাই করেন। আপনার ইচ্ছের তীব্রতাই কর্ম সৃষ্টি করে; তা সে ভালো বা খারাপ যাই হোক না কেন সেটা কোনো ব্যাপার নয়।
মানুষজন আমাকে একই প্রশ্ন বার বার জিজ্ঞেস করেন, "আপনার জীবনের ব্রত বা মিশন কি?" যখন আমি বলি, "আমার কোনো মিশন নেই, আমি এমনি এমনিই ঘুরে বেড়াচ্ছি," তাঁরা মনে করেন আমি কৌতুক করছি। তাঁরা বোঝেন না, এই জগতে বেঁচে থাকার ব্যাপারে এই গভীরতম উক্তিটিই আমি করতে পারি; কারণ কোনো নির্দিষ্ট অভিপ্রায় নেই, শুধুমাত্র যা প্রয়োজন তা করে যাওয়া, এটাই সব। এতে আপনি যার মধ্যে দিয়েই যান, কোনো কর্ম নেই। আপনি যা কিছু করছেন তা ঘটে চলেছে শুধু প্রয়োজন অনুসারে। কর্ম শুধু আপনার প্রয়োজনমতো কোনো কিছু করার সঙ্গে সম্পর্কিত। আপনার যখন কোনো কিছু করার প্রয়োজন নেই এবং আপনি শুধু সেটাই করছেন যেটা প্রয়োজন, তাতে কর্মের কোনো সংযোগ নেই। সেটা ভালোও নয় কিংবা খারাপও নয়।