ব্রহ্ম মূহুর্ত - নিজেকে গড়ে তোলার সময়
ব্রহ্ম মূহুর্ত বা সূর্যোদয়ের আগে রাত্রির শেষ এক চতুর্থাংশ সময়ের তাৎপর্য কি? সদগুরু ব্যাখ্যা করেছেন যে এই সময়ে "ব্রহ্মন" বা সৃষ্টিকর্তা হয়ে নিজেকে ইচ্ছে মতো গড়ে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে।
Q: ব্রহ্ম মূহুর্তের নির্দিষ্ট সময় কোনটি? এর গুরুত্ব কী এবং কিভাবে আমরা এই সময়ে সর্বাধিক শক্তি গ্রহণ করতে পারি?
ব্রহ্ম মূহুর্তের সময়কাল
সদগুরু: সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়কে যদি আমরা রাত্রি হিসাবে ধরি, তাহলে রাত্রির শেষ চতুর্থাংশ সময় হলো ব্রহ্ম মূহুর্তের সময়- যা সকাল 3:3০ থেকে সকাল 5:30 বা 6;00 পর্যন্ত, বা সূর্যোদয়ের সময় পর্যন্ত।
ব্রহ্ম মুহুর্তে কি ঘটে?
পৃথিবীর সঙ্গে সূর্য ও চন্দ্রের সম্পর্কের প্রকৃতি এমন যে এই সময় মানব শরীরে কিছু শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। এমনকি চিকিৎসা বিজ্ঞানও বলে যে শরীরের বর্জ্য পদার্থ, যেমন মূত্রের মধ্যে কিছু বিশেষ গুনাবলী এই সময় পাওয়া যায় যা দিনের অন্য কোন সময় থাকে না।
এই নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা হয়েছে। এই সময় সমস্ত শরীর এক অনুকূল পরিবেশ থাকে এবং পিনিয়াল গ্রন্থি থেকে স্বাভাবিকভাবেই মেলাটোনিন ক্ষরিত হয়। আমরা এর সদ্ব্যবহার করতে চাই, কারণ এই ব্রহ্ম মূহুর্তে পিনিয়াল গ্রন্থির সর্বাধিক ক্ষরণ হয়, যার অর্থ আপনি স্থির হয়ে উঠতে পারেন।
আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যায় মেলাটোনিনকে মানসিক স্থিতিশীলতার নিয়ন্ত্রক হিসাবে ধরা হয়। আপনার নিজের মধ্যে স্বাচ্ছ্যন্দ আনার কথা আমি অনেক দিন থেকেই বলছি। নিজের মধ্যে স্বাচ্ছ্যন্দ আনা মানে আপনি আর অস্থির নন। ব্রহ্ম মূহুর্তে স্বাভাবিকভাবেই এই স্বাচ্ছ্যন্দ আসে।
ব্রহ্ম মূহুর্তে লোকজন আধ্যাত্মিক ক্রিয়ায় রত হতে চান, যাতে তারা সব থেকে বেশি উপকৃত হতে পারেন। ব্রহ্মমূহুর্ত মানে হ'ল সৃষ্টিকর্তার সময়। আপনি এভাবে ভাবতে পারেন: এটা হল সেই সময়, যখন আপনি নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন। সকালে আপনি "ব্রহ্মন" হয়ে ওঠেন, কাজেই আপনি নিজেকে ইচ্ছে মত সৃষ্টি করতে পারেন।