কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শুরুর ঠিক আগে কৃষ্ণ তাঁর পুরো সেনাবাহিনী দুর্যোধনকে প্রদান করেছিলেন। সদগুরু এই পরিস্থিতির বর্ণনা করছেন - এটি বোঝাতে যে জীবনে ভালো-খারাপ বলে কিছু হয় না।

চীনা সাধকের এক প্রশ্নের উওরে সদগুরু বলছেন কিভাবে চীনের মানুষদের প্রকৃত অর্থে যোগশিক্ষা নেওয়ার উপযুক্ত সময় এসেছে।

কর্মক্ষেত্রে নতুন বসের সাথে মানিয়ে নেওয়া কি একটা যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার হতেই হবে? এধরনের পরিস্থিতিকে সামাল দেবার সেরা উপায় সম্পর্কে সদগুরু তাঁর একটি অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সামনে তুলে ধরছেন।

বিজ্ঞানের শাখায় পাঠরত জনৈক কলেজ ছাত্রের প্রশ্ন ছিল, কেন আজকের তরুণ প্রজন্ম যোগবিজ্ঞানের বিরোধী ? উত্তরে, যোগবিজ্ঞানের সঠিক সংজ্ঞা ও তার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করলেন সদগুরু –

সব কিছুর সঙ্গে আবিষ্ট হয়ে থাকা বা নিজের মধ্যে অন্তর্নিবেশ ঘটানো কি কর্মের বন্ধন মুক্তির পরিপন্থী নয়? কঙ্গনা রানাওতের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মের বিশ্লেষণ করলেন সদগুরু -

একজন সাধক ছোটখাটো আশা-আকাঙ্ক্ষায় ভারাক্রান্ত হয়ে তাঁর হতাশা প্রকাশ করছেন। সদগুরু বলছেন, সমস্যাটি হল এই যে, আমরা তাৎক্ষণিক এবং চূড়ান্তকে পৃথক করার চেষ্টা করছি। তিনি ব্যাখ্যা করে বলছেন যে, আমাদের আশেপাশের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জিনিসটি থেকে সবচেয়ে বড় জিনিসটি পর্যন্ত সবকিছুর সাথেই সৃষ্টির উৎস সমানভাবে জড়িত।

চলচ্চিত্র নির্মাতা কুনাল কোহলি সদগুরুর সাথে ভোপালে কথোপকথন করছিলেন। এখানে তারই এক উদ্ধৃতাংশ - যেখানে তাঁরা প্রেম, সম্পর্ক ও পরিবার নিয়ে কথা বলছেন।

সদ্গুরু ব্যাখ্যা করছেন, যদি আগামী ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে প্রাচীন যোগ পদ্ধতি প্রভূত হারে মানুষের কাছে না পৌছায়, তাহলে মানব জাতির কর্ম-ক্ষমতা একেবারেই তলিয়ে যেতে পারে।

আবহমান কাল ধরে চলে আসা ভারতের বর্ণপ্রথার অন্তরালে থাকা সত্যটা কী এবং কীভাবে আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিকরণ ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করা যায় ? বীরেন্দ্র সহবাগের প্রশ্ন সদগুরুর কাছে –

যে সম্পর্কগুলি মধুর হওয়ার কথা, কেন সেগুলি তার অন্তর্নিহিত মধুরতা হারিয়ে তিক্ত হয়ে ওঠে আমাদের অজান্তে ? মৌনি রায়ের প্রশ্নের উত্তরে, মানবিক সম্পর্কের অন্তর্লীন রসায়নটি কেমন হওয়া উচিত, বিশ্লেষণ করেছেন সদগুরু

সদগুরু মহাত্মা গান্ধীর উদাহরণ দিয়ে আমাদের জীবনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধতার গুরুত্ব বোঝাচ্ছেন।

সদগুরু কখনই স্কুলের পাঠ্যক্রমকে নিজের শিক্ষার পথে বাধা হতে দেননি। সেজন্যই শিক্ষা সম্পর্কিত তার বিভিন্ন উদ্যোগের ক্ষেত্রে সর্বদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অনুপ্রেরণার উপর, কোন মতাদর্শে দীক্ষিত করা নয়। এটা কখনই তথ্য জড়ো করার বিষয়ে নয় বরং উপলব্ধির ক্ষমতা বাড়ানো। নীচে এই বিষয়ে তাঁর দেওয়া কয়েকটি উদ্ধৃতি রয়েছে।

কোনও আচেনা ব্যক্তির সঙ্গে মেশার ক্ষেত্রে অনেকেই এক ধরনের “সামাজিক উদ্বেগের” শিকার হয়। জনৈক ছাত্রের প্রশ্ন ছিল, কীভাবে এই সামাজিক উদ্বেগ কাটিয়ে ওঠা যায় ? উত্তরে সদগুরু যা বললেন –

অভিভাবক হিসেবে আমরা সন্তানদের কতটা স্বাধীনতা দিতে পারি ? ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষণের প্রশ্ন সদগুরুর কাছে -