সাধনাপদ - সাধনার মাধ্যমে উত্থান
প্রতীক্ষা করুন এই ধারাবাহিক রচনা এবং ভিডিওগুলির জন্য, যেগুলি আপনাকে নিয়ে যাবে সেই সফরে যার নাম সাধনাপদ এবং যারা এই পথ অবলম্বন করেছন তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে যে অন্বেষণ সেই পথে।
আধ্যাত্মিক বিকাশের সময়
দক্ষিনায়ণ এবং উত্তরায়ণের র্মধ্যবর্তী সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং যারা আধ্যাত্মিক পথে রয়েছেন তাঁদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই সময়কালটি সাধনাপদ নামে পরিচিত - এমন এক সময় যখন অপার কৃপাগ্রহণ সম্ভব হয় । যোগ পরম্পরায়, বিশেষ করে উত্তর গোলার্ধে, এই সময়কালকে সাধনার জন্য খুবই সহায়ক বলে গণ্য করা হয় আর এ সময়ে আধ্যাত্মিক হয়ে ওঠা একটি খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়ায়। এই সময়েই সাধনা তার সেরা ফল দেয়।
এক অনায়াস রূপান্তরের সময়
জগতে সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় হওয়ার জন্য একজনের যা যা দরকার তার মধ্যে সব থেকে জরুরি হল ভারসাম্য আর স্বচ্ছ্ব দৃষ্টি । একটি ভারসাম্যময় সুস্থীর জীবন যাপন করার জন্য একজনের বহির্জগতের কার্যকলাপই শুধু যথেষ্ট নয়,তার অন্তরে কি হচ্ছে তাও গুরুত্বপূর্ণ। সাধনাপদ এমন একটি সময় যখন প্রত্যেকের মন ও আবেগকে স্থিতিশীল করার সম্ভাবনা থাকে। জীবনের যে কোনো পরিস্থিতিতে সহায়ক হয়ে উঠবে, এমন এক দৃঢ় ভিত প্রতিষ্ঠা করার সম্ভাবনা হল সাধনাপদ।
কঠোর সাধনার সময়
২০১৮ সালে প্রথমবার সদগুরু মানুষের কাছে সাধনাপদের সময়টিতে ঈশা যোগ কেন্দ্রের পবিত্র পরিবেশে কাটানোর সম্ভাবনা প্রদান করেন। ২১টি দেশের ২০০-ও বেশি অংশগ্রহণকারী তাদের একাগ্র চেষ্টায় অভ্যন্তরীণ রূপান্তরের এই সুযোগটি গ্রহণ করেন ।
এই কার্যক্রমের অধীনে, অংশগ্রহণকারীরা কঠোর সাধনার অভিজ্ঞতা লাভ করেন, যার মধ্যে থাকে প্রতিদিনের যোগ অনুশীলন এবং সেবা । মহাশিবরাত্রিতে কার্যক্রম সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত অংশগ্রহণকারীদের সফর আমরা অনুসরণ করবো আর তাঁদের অভিজ্ঞতা ও রূপান্তরকে গভীরভাবে জানবো ।