ধ্যানের উপকারিতাগুলির বিষয়ে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সদগুরু জানাচ্ছেন, কীভাবে শারীরিক এবং মনস্তাত্ত্বিক উপকারিতাগুলি কেবল ধ্যানের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া মাত্র। তিনি বলেন, "আসল জিনিসটিতো ধীরে-ধীরে গড়ে উঠছে।"

সদগুরু আমাদের বলছেন যে কেন আমাদের সমাজের তৈরী করা সাফল্য আর ব্যর্থতার ধারণা দ্বারা চালিত হওয়া উচিত নয়। আমরা যদি জীবনকে এক বৃহত্তর সম্ভাবনার প্রথম ধাপ হিসেবে গড়ে তুলি, তাহলে ব্যর্থতা বলে কিছু থাকে না।

ভারতে জলের শোচণীয় অবস্থার কারণে গঙ্গা নদীও শুকিয়ে যেতে পারে - যা সমগ্র জাতির অন্তরাত্মা এবং মনস্তত্বকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে।

অনিশ্চিত সময়ে প্রয়োজন উদ্ভাবনী সমাধান এবং নতুন ও অপ্রচলিত ভাবনা-চিন্তা করার অভাবনীয় সুযোগ নিয়ে আসে। সদগুরু কিছু উদ্ভাবনমূলক ধারণা জানাচ্ছেন যা দেশকে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সদগুরু এক প্রশ্নকর্তাকে উত্তর দিচ্ছেন, যিনি জানতে চান যোগ তাদের ডায়াবেটিস উপশমে সাহায্য করতে পারে কিনা - যে রোগ ভারতবর্ষে মহামারীর আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পয়লা বৈশাখে সদগুরু আমাদের একটি বিশেষ বার্তা দিচ্ছেন। এবং দিনটিকে কেন নববর্ষের সূচনা বলে ধরা হয় তার নেপথ্যের বিজ্ঞানটি প্রকাশ করছেন।

এখানে 2016 সালের 30 -শে মে টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত সদগুরুর একটি সাক্ষাৎকার থেকে উদ্ধৃত একটি অংশ দেওয়া হল।

কিভাবে কোভিড-১৯ এর প্রতিকূলতাকে বিশ্বের কর্মপদ্ধতি পুনর্বিন্যাসের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করা যায়, সেই সম্পর্কে সদগুরু তাঁর অন্তর্দৃষ্টি ব্যক্ত করছেন।

যোগব্যায়াম কি পেশী গঠনে সহায়তা করতে পারে? আপনি যদি ঘন্টার পর ঘন্টা জিমে ওজন তোলায় ব্যয় করেন -তবে এটি বিশ্বাস করা আপনার পক্ষে কঠিন হতে পারে যে, এটা করে। এই নিবন্ধে, সদগুরু এই নিরন্তর বিতর্কের বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছেন: যোগ বনাম জিম।

আজকাল অনেকেই আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব পোষণ করেন কারণ এটাকে শোচনীয়ভাবে বেঁচে থাকার একটা উপায় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে, সদগুরু আধ্যাত্মিক হবার সঠিক অর্থ প্রকাশ করেছেন।

এই সপ্তাহে ধ্রুপদী যোগের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সদগুরু এক অসাধারণ শক্তিশালী পদ্ধতি অঙ্গমর্দনের বিষয়ে বললেন যা ভৌত এবং শক্তি উভয় শরীরেরই এক অনুশীলন।

চীনা সাধকের এক প্রশ্নের উওরে সদগুরু বলছেন কিভাবে চীনের মানুষদের প্রকৃত অর্থে যোগশিক্ষা নেওয়ার উপযুক্ত সময় এসেছে।

হতাশা এবং মানসিক পরিস্থিতি মানুষকে আত্মহত্যার চূড়ান্ত পদক্ষেপের দিকে নিয়ে যেতে পারে। সদগুরু আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান করছেন এবং ব্যাখ্যা করছেন যে কীভাবে যোগ কোন ব্যক্তিকে তার নিজস্ব প্রকৃতিতেই সুখী থাকতে সাহায্য করে, বাইরের পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন।

আজকাল হপ্তাশেষের ছুটির জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকার যে রেত্তয়াজ চলছে, তার সাথে সদগুরু তাঁর বাবা ভারতীয় রেলের চিকিৎসক হিসেবে নিজের কাজের প্রতি যে নিরন্তর নিষ্ঠা দেখিয়েছলেন তার তুলনা করছেন।

সদগুরু  উপহার দিচ্ছেন  একটি নিত্য অনুশীলন ও  সাধনা যা আমাদের এই বিপদসংকুল  সময়কে পেরিয়ে যেতে সাহায্য করবে।