মহর্ষি ব্যাস একটি অতিপরিচিত নাম এবং ভারতীয় ঐতিহ্যর একজন কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব। প্রাচীন মহাকাব্য মহাভারত, যেটি দীর্ঘতম লিখিত কবিতা - তাঁকে এর রচয়িতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে এতে তাঁরও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন রাশিফল আদৌ কাজ করে কিনা এবং গ্রহগুলো আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলে কিনা।

গণপতি তাঁর চতুরতার জন্য বিখ্যাত। গোকর্ণের মহাবলেশ্বর মন্দিরে গণপতির একটি মূর্তি আছে যার মাথায় একটা টোল- রাবণের দৌলতে, যিনি কোন একটি ঘটনাকালে গণপতির বুদ্ধিমত্তার বড় একটা প্রশংসক ছিলেন না। সদগুরু তাদের দুজনের অপ্রত্যাশিত সাক্ষাতের গল্পটি আমাদের বলছেন।

সদগুরু কৃষ্ণের সাধনা সম্পর্কে বলছেন, যাতে তিনি শুধু আশেপাশের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েই সম্পূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন

সত্যের সাথে যুবসমাজ শীর্ষক আলোচনাচক্রে জনৈক ছাত্রের প্রশ্ন ছিল, বুদ্ধিমত্তা ও মজা উপভোগ করার মধ্যে কি কোনও বিরোধ আছে ? সদগুরু বলেন, যারা বুদ্ধিবৃত্তির আনন্দে মজে থাকে তাদের কাছে পার্টি বা পাবে যাওয়াটা খুব মজার কিছু নয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাদের জীবনে কোনও আনন্দের উপকরণ নেই –

সদগুরুর সাথে এক প্রশ্ন-উত্তর পর্বে একজন প্রশ্নকর্তা তাঁর সাধনায় গভীরভাবে মনোসংযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন। সদগুরু ব্যাখ্যা করে বলেন যে স্বাভাবিকভাবে মনোযোগী হওয়ার জন্য তাকে প্রথমে গভীর ভাবে মগ্ন হতে হবে।

সদগুরু একজন বস্তুবাদী এবং একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্যের, এবং কেন আধ্যাত্মিকতা জীবনের সঙ্গে একটা অপরিবর্তনীয় প্রণয়লীলা, তার উপর দৃষ্টিপাত করছেন।

সদগুরু বলছেন, যন্ত্রের দিক থেকে এই অস্তিত্বের মধ্যে সবচেয়ে অলৌকিক জিনিসটি কম্পিউটার, গাড়ি বা মহাকাশযান নয়, এটি হ'ল মানব মন।

সদ্গুরু ব্যাখ্যা করছেন, যদি আগামী ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে প্রাচীন যোগ পদ্ধতি প্রভূত হারে মানুষের কাছে না পৌছায়, তাহলে মানব জাতির কর্ম-ক্ষমতা একেবারেই তলিয়ে যেতে পারে।

কখনও কি ভেবে দেখেছেন কেন জীবন প্রতি পদে আপনার বিপক্ষে যাচ্ছে বলে মনে হয়? বা কেন কিছু মানুষের জন্য লাল গালিচা পাতা আছে বলে মনে হয়? সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন যে 'আকাশীয় বুদ্ধিমত্তা' বলে একটা বিশেষ বুদ্ধিমত্তা আছে যেটা আমরা কিভাবে জীবন কাটাবো- সে ব্যাপারে একটা ভূমিকা পালন করে।

পুরাণ-কথা অনুসারে কলিযুগে বিষ্ণুর সর্বশেষ অবতার 'কল্কি' আবির্ভূত হবেন। এই ব্যাপারটা আসলে কি? সদগুরু উত্তর দিচ্ছেন।

কুসংস্কারের কি কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে অথবা মানবজাতিকে ভুল পথে চালিত করার জন্য এগুলো কোন অমূলক বিশ্বাস? সদগুরু দুই তরফেই আলোকপাত করেছেন।

মানুষের চেতনা বৃদ্ধির অর্থ কী, এমন একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই জীবনের অস্তিত্ব সৃষ্টিকারী মৌলিক বুদ্ধিমত্তার ব্যাখ্যা দান করছেন সদগুরু।