দেশ গড়তে সদগুরুর ১৮টি উদ্ধৃতি

আমাদের জাতীয়তাবোধ এক নিয়ন্ত্রিত আবেগ হওয়া উচিত। যখন অর্ধেক জনসংখ্যা আজও অপুষ্টিতে ভুগছেন, তখন এটি আমাদের জোরালো মাত্রায় প্রয়োজন। যখন দেশ সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠবে, তখন আমরা রাষ্ট্রবাদী উচ্ছ্বাস কিছুটা কমাতে পারি।

সীমিত পরিচয়ের ঊর্ধ্বে ওঠার সম্ভাবনা এখন সর্বাধিক কারণ প্রযুক্তি ভৌগোলিক সীমারেখাগুলিকে ম্লান করে দিয়েছে। এটাই উপযুক্ত সময় যখন প্রত্যেক ব্যাক্তি দেশের সঙ্গে একাত্ম বোধ করতে পারেন, কারণ এই মুহূর্তে দেশ হল মানবজাতির সব থেকে বড় অংশ যাকে পরিচালনা করা যেতে পারে।

জাতীয় সীমারেখা ১৯৪৭ সালেই নির্দিষ্ট করে ফেলা উচিত ছিল, যখন ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা এখনো একটা নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে বসে আছি, যেটা সবসময়ই নিয়ন্ত্রণের বাইরে হয়ে রয়েছে। সময় হয়েছে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করার।

দেশ কোনও ভূখণ্ড নয়, দেশ মানে তার মানুষজন। মানুষের রূপান্তরের মাধ্যমেই আমরা একটা মহান দেশ পাবো।

রাজনীতিতে আধ্যাত্মিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা মহান দেশ তখনই গড়তে পারব যখন আমরা মহান মানুষ তৈরি করব।

আমাদের দেশের প্রকৃত ঐশ্বর্য তার জলসম্পদ, যেখানে পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধশালী জীববৈচিত্র্য বর্তমান।

ব্যবসা, শিল্পোদ্যোগ বা একটা দেশ, আপনি যাই চালান না কেন - যা প্রয়োজন তা হল, অন্তর্দৃষ্টি, সততা এবং অনুপ্রেরণা।

দেশকে রূপান্তরিত করতে গেলে আধ্যাত্মিক চৈতন্য লাভের প্রয়োজন নেই - প্রয়োজন শুধুমাত্র আমাদের চারপাশের সকলের জন্য অনুভূতি ও প্রেম।

হাজার হাজার বছর ধরে ভারতবর্ষ পৃথিবীতে সবথেকে প্রাণোচ্ছল এবং বর্ণময় সংস্কৃতি। আসুন আমরা একে আবার একবার সমৃদ্ধশালী করে তুলি, এ শুধু একটা দেশই নয় এ হল পৃথিবীর এক সম্পদ।

ভারতবর্ষের ভবিষ্যৎ এই প্রজন্মের হাতে। আসুন আমরা এমন এক দেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় রত হই যেখানে প্রত্যেক মানুষ হবেন আইন মান্যকারি এবং সকল জীবনকে দেবেন সমান মূল্য ও মর্যাদা।

যদি আমরা গ্রামীণ ভারতকে শিক্ষিত না করে তুলি, কর্মদক্ষ ও যোগ্য দেশবাসী না গড়ে তুলি, তাহলে দেশের ভবিষ্যত বলে কিছু থাকবে না।

ভারতবর্ষ এক অত্যন্ত সুসংগঠিত বিশৃঙ্খলা, আর এটাই তার শক্তি।

ভারত এক বৃহৎ সম্ভাবনা। সে সম্ভাবনা সত্যি হয়ে উঠবে কি না, তা নির্ভর করে আমাদের এই পথ পার হওয়ার সাহস এবং দৃঢ়তার উপর।

যদি আমরা দেশের জনশক্তিকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, লক্ষ্যে স্থীর, সুসংহত এবং অনুপ্রাণিত করতে পারি, ভারত এক বিস্ময়কর শক্তি হয়ে উঠবে।

আমরা যদি ভারতকে দক্ষ করে না তুলি, তাহলে আমরা ভারতকে শেষ করে ফেলব।

ভারতবর্ষের মৌলিক শক্তি এটাই যে এই ভূমী অন্বেষণকারীদের - সত্য এবং মুক্তির অন্বেষণকারী।

গণতন্ত্র মানে জনগণের দ্বারা গঠিত সরকার। আমরা যদি একটা মহান দেশ চাই, তাহলে আমাদের ভূমিকা যাই হোক না কেন, আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে এবং শ্রেষ্ঠ প্রচেষ্টাটি দিতে হবে।

গণতন্ত্র দর্শকের আসনে বসে দেখার খেলা নয়। আমাদের এতে অংশ নিতে হবে।