কাবেরী নদীমধ্যে দর্শনীয় নটদৃশ্যরার মন্দির
বলা হয় যে অগস্ত্যমুনি ৬০০০ এরও বেশি বছর আগে নটদৃশ্যরার মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন। কেমন করে অগস্ত্য মুনি তাঁর প্রাণশক্তি এবং সূক্ষ্ম শরীর এখানে ছেড়ে যান তা সদগুরু ব্যক্ত করছেন।
কথিত আছে যে ৬০০০ এরও বেশি বছর আগে অগস্ত্য মুনির হাতে এই মন্দিরের লিঙ্গটির প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। অগস্ত্য মুনি এক অসামান্য জীবন যাপন করেছিলেন। মানুষের বিশ্বাস যে তাঁর জীবনকাল ছিল অদ্ভুতরকম দীর্ঘ। কিংবদন্তি অনুযায়ী তিনি ৪০০০ বছর বেঁচে ছিলেন। সেটা ৪০০০ না ৪০০, তা আমাদের জানা নেই কারণ ভারতীয় হিসেবে শূন্যের ব্যাপারে, আমরা বেশ কিছুটা স্বাধীনতা নিয়ে নিয়ে থাকি। শূন্য তো আমাদেরই আবিষ্কার!অগস্ত্য মুনি এক অসামান্য জীবন যাপন করেছিলেন। মানুষের বিশ্বাস যে তাঁর জীবনকাল ছিল অদ্ভুতরকম দীর্ঘ। কিংবদন্তি অনুযায়ী তিনি ৪০০০ বছর বেঁচে ছিলেন। সেটা ৪০০০ না ৪০০, তা আমাদের জানা নেই কারণ ভারতীয় হিসেবে শূন্যের ব্যাপারে, আমরা বেশ কিছুটা স্বাধীনতা নিয়ে নিয়ে থাকি। শূন্য তো আমাদেরই আবিষ্কার!
কাজেই আমরা জানি না ঠিক কত বছর তিনি বেঁচে চিলেন, কিন্তু শুধুমাত্র তাঁর পায়ে হেঁটে ভ্রমণের পরিমাণ দেখেই বোঝা যায় যে তিনি অস্বাভাবিক দীর্ঘ সময় জীবিত ছিলেন। আপনি যদি দক্ষিণ ভারতে বিন্ধ্যাচল পর্বতের দক্ষিণে যে কোনো জায়গায় যান,প্রায় সমস্ত গ্রামেই লোকজনের মুখে শুনতে পাবেন ,"অগস্ত্য মুনি এখানে ধ্যান করেছিলেন, অগস্ত্য মুনি এই গুহায় ছিলেন, অগস্ত্য মুনি এই গাছটি লাগিয়েছিলেন "। এমন অগুন্তি গল্প আছে কারণ তিনি হিমালয়ের দক্ষিণে প্রতিটি মানব বসতি কে ছুয়েঁছিলেন এক আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া দিয়ে, কোনো শিক্ষা নয়, কোনো ধর্ম বা দর্শন নয়, বরং জীবনের অঙ্গ হিসেবে। আপনার মা যেভাবে আপনাকে শিখিয়েছিলেন কিভাবে সকালে উঠে দাঁত মাজতে হয়, ঠিক তেমনি করে, আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া শেখানো হয়। তার অবশিষ্টাংশ আজও বেঁচে আছে এই সংস্কৃতিতে, বিশেষত দেশের দক্ষিণ ভাগে।
নটদৃশ্যরার-এ যে লিঙ্গটির তিনি প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন সেটি তখনকার দিনের ঐতিহ্যগত কিছু মিশ্রনের সাথে বালি মিশিয়ে বানানো। এই বালির লিঙ্গটি শারীরিকভাবে আজও অক্ষত, এবং প্রাণশক্তির দিক দিয়ে, এখনও বিস্ফোরক। ৬০০০ বছরের পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও মনে হয় যেন সবেমাত্র এই গতকাল করা হয়েছে।
সাধারণ ভাবে বিশ্বাস করা হয় যে অগস্ত্য মুনি তাঁর প্রাণশক্তি ও সূক্ষ্মশরীর এই স্থানে রেখে গেছেন। বলা হয় যে তিনি তাঁর মানসিক শরীর বা মনোময় কোষ রেখে গেছেন মাদুরাই এর কাছে চতুরাগিরি পাহাড়ে, এবং কার্ত্তিকেয়-র সাহায্য নিয়ে, তিনি নাকি তাঁর স্থুলশরীর কৈলাসে নিয়ে যান যেখানে শিব ছিলেন এবং সেখানেই ছেড়ে যান। কাজকর্মের এ এক নজরকাড়া উপায় ।
একরকম ভাবে তিনি কাবেরী কে দেখছেন একটি জীবন্ত শরীর হিসেবে এবং তিনি নটদৃশ্যরার-এ এর নাভীকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করলেন এমনভাবে যাতে উপরের দিকে ও নীচের দিকে শক্তির সঞ্চালনা সঠিক ভাবে হতে পারে। এর নেপথ্যে এতকিছু আছে বলেই, এটি আরো বেশি জরুরি হয়ে পড়ে যে আমরা কাবেরীকে আবার বহমান করে তুলি যেমন সে বহু হাজার বছর ধরে ছিল। এটি শুধুমাত্র জীবনধারণ বা কৃষির জন্য নয় বরং আরো অনেক বেশি কিছুর জন্য।
এই ভূভাগের সংস্কৃতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এই যে মানুষের টিকে থাকা এবং সমৃদ্ধি হল পরিণাম মাত্র, জীবনের উদ্দেশ্য নয়। মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য সবসময়ই ছিল বিকশিত হওয়া । বহু মহান সত্তা তাঁদের প্রাণশক্তি কিছু নির্দিষ্ট উপায়ে রোপন করে গেছেন মানুষের বৃদ্ধির সহায়তায় এবং প্রতিটি মানুষের বিকাশের জন্য। তাঁরা সৃষ্টি করেছিলেন প্রয়োজনীয় শক্তিতণ্ত্র আর চেষ্টা করেছিলেন সমস্ত কিছুকেই ঐ অভিমুখের এক সম্ভাবনা করে তুলতে - এমনকি একটি নদীকেও!
Editor’s Note: Confused about the subtle body? Click here to read Sadhguru explaining about the subtle body and its relevance to Yoga.