সদগুরু দেখাচ্ছেন কীভাবে আমরা যখন মনের মাধ্যমে কাজ করি তখনই একমাত্র "পূরাতনের" অস্তিত্ব থাকে। অন্যথায় অস্তিত্বের সবকিছু সর্বদাই নতুন এবং সজীব।

আত্মজ্ঞানী এক জেন সন্ন্যাসীর সাক্ষাৎ হয় অন্য একটি মঠের এক শিক্ষানবিশের সাথে এবং তিনি তার মঠ থেকে কি পেয়েছেন শিক্ষানবিশের এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন- কিচ্ছু নয়!

অনেক আধ্যাত্মিক উচ্চাকাঙ্ক্ষী যাঁরা নির্বাণের বা মুক্তির পথ অন্বেষণ করছেন, তারা শেষপর্যন্ত এসে ঘুরপাক খান নানা বৃত্তপথে অথচ নির্বাণের পথ রয়েছে প্রত্যেকের ঠিক সমুখেই।

অতীন্দ্রিয়বাদী কবি কবির বহু শতাব্দী ধরে সত্যের সন্ধানীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছেন। সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন কীভাবে তাঁর ধর্ম নিয়ে বিতর্ক করতে গিয়ে আমরা তাঁর জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হই।

একজন গুরুর সাহায্য ছাড়াই কি আধ্যাত্মিক উন্নতি সম্ভব - সেই বিষয়ে একটি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সদগুরু।

সদগুরু হাসি নিয়ে মর্মভেদী একটি জেন্ গল্প বলছেন এবং নিজের জীবনের মারাত্মক এক ঘটনার মাধ্যমে এর অর্থ ব্যাখ্যা করছেন।

আগ্রহী শিষ্যরা তাদের জেন মাস্টারকে খুব অনুরোধ করলেন একটি গল্প বলতে। তারা বেশ মনোযোগ সহকারে শুনলেন, কারণ গল্পটির পর তাদের একটি প্রশ্ন করা হবে। তবে, গল্পটির সমাপ্তিতে কিছু একটা সমস্যা রয়েছে। সদ্‌গুরু লুকানো বার্তাটি উন্মোচন করলেন।

বিজ্ঞানের শাখায় পাঠরত জনৈক কলেজ ছাত্রের প্রশ্ন ছিল, কেন আজকের তরুণ প্রজন্ম যোগবিজ্ঞানের বিরোধী ? উত্তরে, যোগবিজ্ঞানের সঠিক সংজ্ঞা ও তার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করলেন সদগুরু –

বলা হয় যে অগস্ত্যমুনি ৬০০০ এরও বেশি বছর আগে নটদৃশ্যরার মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন। কেমন করে অগস্ত্য মুনি তাঁর প্রাণশক্তি এবং সূক্ষ্ম শরীর এখানে ছেড়ে যান তা সদগুরু ব্যক্ত করছেন।

সদগুরু একটি গল্প বলছেন যেখানে দিওজেনেসের সাথে সাক্ষাৎ হওয়াতে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট ইডিয়েটের / চরম মূর্খ আলেকজান্ডারের জীবন পাল্টে গেছিল। দিওগেনেস ছিলেন একজন পরম আনন্দময় উলঙ্গ ভিখারী, যিনি গ্রীসের এক নদীর তীরে বাস করতেন।

সদগুরু বৃহত্তর ক্ষেত্রে তিন শ্রেণীর যোগীর কথা বলছেন – মন্দ, মধ্যম এবং উত্তম।