দীর্ঘ সময় ধরে স্থির হয়ে বসে থাকতে গেলে কী দরকার এই প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সদগুরু এবং মন, দেহ, আবেগ ও শক্তিকে স্থির করার গুরুত্ব সম্পর্কে বলছেন।

সদগুরু দেখাচ্ছেন কীভাবে আমরা যখন মনের মাধ্যমে কাজ করি তখনই একমাত্র "পূরাতনের" অস্তিত্ব থাকে। অন্যথায় অস্তিত্বের সবকিছু সর্বদাই নতুন এবং সজীব।

যোগ শিখলে কি প্রচুর নিয়ম পালন করতে হয়? সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন - যোগ নিয়ম কানুনের ব্যাপার নয়, এটা হল মানব দেহের জ্যামিতিকে বোঝা।

একজন নতুন শিষ্য তার বহু ভ্রমণ করা জেন্ গুরু-কে জিজ্ঞাসা করলেন , "আপনি তো দুনিয়ার অনেক জায়গাতে গেছেন। কোন জায়গাটা গ্রীষ্মের সময় সবচেয়ে ভালো? কোন জায়গা বর্ষার জন্যে সবচেয়ে ভালো? শীতে যাবার জন্যে সেরা জায়গা কোনটা?"

একজন সাধক ছোটখাটো আশা-আকাঙ্ক্ষায় ভারাক্রান্ত হয়ে তাঁর হতাশা প্রকাশ করছেন। সদগুরু বলছেন, সমস্যাটি হল এই যে, আমরা তাৎক্ষণিক এবং চূড়ান্তকে পৃথক করার চেষ্টা করছি। তিনি ব্যাখ্যা করে বলছেন যে, আমাদের আশেপাশের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জিনিসটি থেকে সবচেয়ে বড় জিনিসটি পর্যন্ত সবকিছুর সাথেই সৃষ্টির উৎস সমানভাবে জড়িত।

বাড়ি এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখলে তার কোন গভীরতর প্রভাব কি আধ্যাত্মিক উন্নতির উপর পড়ে? সদগুরু পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব আলোচনা করছেন।

আপনার কি কখনো নিজেকে অকেজো বা আপনার দ্বারা কোনকিছুই ঠিকঠাক হয়ে ওঠে না - এরকম মনে হয়েছে? সদ‌গুরু ব্যাখ্যা করছেন যে জীবনের মূল্য তার উপযোগিতায় নয়, বরং এর সৌন্দর্য, উচ্ছ্বাস এবং তীব্রতায়।

সদগুরু কখনই স্কুলের পাঠ্যক্রমকে নিজের শিক্ষার পথে বাধা হতে দেননি। সেজন্যই শিক্ষা সম্পর্কিত তার বিভিন্ন উদ্যোগের ক্ষেত্রে সর্বদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অনুপ্রেরণার উপর, কোন মতাদর্শে দীক্ষিত করা নয়। এটা কখনই তথ্য জড়ো করার বিষয়ে নয় বরং উপলব্ধির ক্ষমতা বাড়ানো। নীচে এই বিষয়ে তাঁর দেওয়া কয়েকটি উদ্ধৃতি রয়েছে।

কি করবেন যখন ঘরে বন্দী আর টিভি দেখতে ও নেট সার্ফ করতে একঘেয়ে লাগছে? সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন - কেমন ভাবে একঘেয়েমি সারাবেন।

সদগুরু বলছেন, আনন্দের প্রকৃতি এমনই যে, সে যেন এক কূপ, ভিতর ভিতরই উৎসারিত হয়ে চলেছে।

সদগুরুর সাথে এক প্রশ্ন-উত্তর পর্বে একজন প্রশ্নকর্তা তাঁর সাধনায় গভীরভাবে মনোসংযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন। সদগুরু ব্যাখ্যা করে বলেন যে স্বাভাবিকভাবে মনোযোগী হওয়ার জন্য তাকে প্রথমে গভীর ভাবে মগ্ন হতে হবে।

গণপতি তাঁর চতুরতার জন্য বিখ্যাত। গোকর্ণের মহাবলেশ্বর মন্দিরে গণপতির একটি মূর্তি আছে যার মাথায় একটা টোল- রাবণের দৌলতে, যিনি কোন একটি ঘটনাকালে গণপতির বুদ্ধিমত্তার বড় একটা প্রশংসক ছিলেন না। সদগুরু তাদের দুজনের অপ্রত্যাশিত সাক্ষাতের গল্পটি আমাদের বলছেন।

কে না চাইবে সকল অশুভ শক্তি বিনাশ করে একটা শান্তিপূর্ণ বিশ্বে বাস করতে? কিন্তু "অশুভ শক্তি" ঠিক কি, আর কি ভাবেই বা একে ধ্বংস করা যাবে? সদগুরু একটি সর্বজনীন সমস্যাকে এক বিরল দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিষয়টির বিশদ ব্যাখ্যা করছেন।

সদগুরু ধর্মীয় বিশ্বাসের একেবারে মূল ভিত্তি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন এবং প্রকৃত অন্বেষণকারীদের কাছে আবেদন করেছেন, বিশ্বাস ধারার বাইরে গিয়ে অভ্যন্তরীণ রূপান্তরের খোঁজ করতে।