"চাঁদের প্রভাবকে সাধারণত অযৌক্তিক বলে গণ্য করা হয় কিন্তু এখানে,এই সংস্কৃতিতে আমরা সবসময়েই যুক্তির সীমাবদ্ধতা স্বীকার করেছি।আপনার মধ্যে একটা যুক্তির ব্যাপার আছে যেটা আপনাকে আপনার জীবনের নানা বৈষয়িক দিককে সামলাতে সাহায্য করে তবে, যুক্তির অতীত এমন এক মাত্রা আছে যেটা ছাড়া আত্মবাদী মাত্রার নাগাল কখনোই পাওয়া যেতে পারে না।''-সদগুরু

সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন যে কিভাবে কর্ম, নিষ্পাদিত কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বরং কাজের পেছনে যে অভিপ্রায় থাকে তার সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা যদি কোনো পরিস্থিতিতে যেমন প্রয়োজন শুধুমাত্র সেভাবে কাজ করি তাহলে কোন কর্ম সৃষ্টি হয় না। পড়তে থাকুন।

পুরাণ-কথা অনুসারে কলিযুগে বিষ্ণুর সর্বশেষ অবতার 'কল্কি' আবির্ভূত হবেন। এই ব্যাপারটা আসলে কি? সদগুরু উত্তর দিচ্ছেন।

একজন মানুষ কী করে তার বন্ধনগুলোর থেকে মুক্ত হবেন, যখন তিনি সংসারী এবং পরিবারের বহু মানুষ তার উপর নির্ভরশীল, এবং কিছু শিকল তাকে ঘিরে আছে? সদগুরু উত্তর দিচ্ছেন।

সদ্গুরু ব্যাখ্যা করছেন, যদি আগামী ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে প্রাচীন যোগ পদ্ধতি প্রভূত হারে মানুষের কাছে না পৌছায়, তাহলে মানব জাতির কর্ম-ক্ষমতা একেবারেই তলিয়ে যেতে পারে।

এই সপ্তাহে ধ্রুপদী যোগের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সদগুরু এক অসাধারণ শক্তিশালী পদ্ধতি অঙ্গমর্দনের বিষয়ে বললেন যা ভৌত এবং শক্তি উভয় শরীরেরই এক অনুশীলন।

সদগুরু মহাত্মা গান্ধীর উদাহরণ দিয়ে আমাদের জীবনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধতার গুরুত্ব বোঝাচ্ছেন।

অস্কার জয়ী চিত্র পরিচালক শেখর কাপুর লিঙ্গ-ভৈরবীর প্রকৃতি, যন্ত্র এবং প্রাণ-প্রতিষ্ঠিত স্থানের ব্যাপারে সদগুরুর সাথে আলোচনা করছেন।

সদগুরু বৃহত্তর ক্ষেত্রে তিন শ্রেণীর যোগীর কথা বলছেন – মন্দ, মধ্যম এবং উত্তম।

নন্দিতা দাস এবং প্রহ্লাদ কক্করের সাথে সদগুরু সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন টাইম্‌স্‌ নাও টি ভি চ্যানেলে। বিষয় হল আধ্যত্মিকতা এবং মানুষের জীবনে তার উপযোগিতা।

সদগুরু দেখাচ্ছেন কীভাবে আমরা যখন মনের মাধ্যমে কাজ করি তখনই একমাত্র "পূরাতনের" অস্তিত্ব থাকে। অন্যথায় অস্তিত্বের সবকিছু সর্বদাই নতুন এবং সজীব।

সদগুরু শিবের তৃতীয় নেত্রের প্রতীকতা এবং যখন এই তৃতীয় নেত্র উন্মীলিত হয়, কেমন করে স্পষ্টতা এবং প্রত্যক্ষ উপলব্ধির উন্মেষ ঘটে, সেকথা ব্যাখ্যা করছেন। শিব কিভাবে কামকে ভষ্ম করেছিলেন সে সম্পর্কেও তিনি একটি গল্প বলছেন।

কুসংস্কারের কি কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে অথবা মানবজাতিকে ভুল পথে চালিত করার জন্য এগুলো কোন অমূলক বিশ্বাস? সদগুরু দুই তরফেই আলোকপাত করেছেন।

সদগুরু ছেলেবেলায় যে বইগুলো পড়ে তার মন সমুদ্রে হারিয়ে ফেলেছিলেন, আর পরবর্তীকালে যে বইগুলো তাকে রুশ নির্মাণকার্যে আগ্রহী করে তুলেছিল, তার গল্প করছেন তিনি।

আমেরিকাবাসি ভারতীয় লেখক, গণ-বক্তা এবং চিকিৎসক দীপক চোপড়ার 18-ই অক্টোবর 2015 সদ্গুরুর সঙ্গে এক কথোপকথন হয়েছিল "আধুনিক যুগে প্রাচীন জ্ঞান" বিষয়ের উপর। এই হল সেই কথাবার্তার উদ্ধৃতাংশ।