ধ্যানের উপকারিতাগুলির বিষয়ে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সদগুরু জানাচ্ছেন, কীভাবে শারীরিক এবং মনস্তাত্ত্বিক উপকারিতাগুলি কেবল ধ্যানের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া মাত্র। তিনি বলেন, "আসল জিনিসটিতো ধীরে-ধীরে গড়ে উঠছে।"

যোগ শিখলে কি প্রচুর নিয়ম পালন করতে হয়? সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন - যোগ নিয়ম কানুনের ব্যাপার নয়, এটা হল মানব দেহের জ্যামিতিকে বোঝা।

সদগুরু রুদ্রাক্ষ এবং খাঁটি রুদ্রাক্ষ ব্যবহারের গুরুত্ব সম্পর্কে বলছেন।

গ্রেটার নয়ডার বেনেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের উত্তরে সদগুরু উদ্বেগ দূর করার জন্য একটি স্বল্প পরিচিত অনুশীলনের পরামর্শ দিয়েছেন। এটি কীভাবে কাজ করে তা জানতে চান? সদগুরু মানব তন্ত্রর পাশাপাশি মহাবিশ্বের স্তরেও এর কলাকৌশল এবং কার্যকারিতার কথা ব্যাখ্যা করেছেন।

প্রায় ৭ মাসের কঠোর সাধনার পর, প্রথম সাধনাপদ কার্যক্রম মহাশিবরাত্রিতে এসে শেষ হয়। সদগুরু অভ্যন্তরীন বিকাশের জন্য সময় দেওয়া কতটা প্রয়োজনীয় সে কথা আলোচনা করলেন এবং অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন।

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শুরুর ঠিক আগে কৃষ্ণ তাঁর পুরো সেনাবাহিনী দুর্যোধনকে প্রদান করেছিলেন। সদগুরু এই পরিস্থিতির বর্ণনা করছেন - এটি বোঝাতে যে জীবনে ভালো-খারাপ বলে কিছু হয় না।

সদগুরু জীবনের মাঝবয়সের সংকট নিয়ে একটি প্রশ্নের উত্তর দেন, এবং জীবন কীভাবে এক নিত্য পরিবর্তনের প্রক্রিয়া তা নিরীক্ষণ করেন।

যোগব্যায়াম কি পেশী গঠনে সহায়তা করতে পারে? আপনি যদি ঘন্টার পর ঘন্টা জিমে ওজন তোলায় ব্যয় করেন -তবে এটি বিশ্বাস করা আপনার পক্ষে কঠিন হতে পারে যে, এটা করে। এই নিবন্ধে, সদগুরু এই নিরন্তর বিতর্কের বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছেন: যোগ বনাম জিম।

সদগুরু জানালেন, কীভাবে নিজেকে পরিচালনা করে নিজের দেহতন্ত্র থেকে অবসাদ দূর করা যায়: "যোগে, অবসাদকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় দেহ, মন এবং শক্তির স্তরে। ভৌত দেহ, মানসিক স্তর এবং প্রাণশক্তির মধ্যে যদি প্রয়োজনীয় ভারসাম্য এবং উচ্ছলতা আনা যায়, তখন পরম আনন্দে থাকাটাই অত্যন্ত স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।"

মানুষের যৌনাচারণ পাপাচার না পবিত্র, এই প্রশ্নের উত্তরে সদগুরু বলেন, যৌনতার মধ্যে ঠিক বা ভুল বলে কিছু নেই, এটি ভৌত অস্তিত্বের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে, কিন্তু মানুষের জীবনে এর ভূমিকা অত্যন্ত সীমিত। যৌনতাকে স্বীকৃতি দিতেই হবে, কিন্তু এক্ষেত্রে দায়িত্ববোধের পরিচয় দেওয়া জরুরী, স্পষ্ট অভিমত সদগুরুর -

সদগুরু কর্ম যোগ প্রক্রিয়ার গুরুত্ব, আধ্যাত্মিক পথে এর ভূমিকা এবং কীভাবে একজন সাধক কর্মকে আধ্যাত্মিক বিকাশের উপায় হিসাবে ব্যবহার করে চলতে পারেন সে ব্যাপারে আলোচনা করছেন।

মৃত্যুর কি কোন বিকল্প আছে? আমরা কীভাবে এবং কখন মারা যাব তা কি আমাদের হাতে রয়েছে? সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন ভৌতিক শরীরকে সচেতনভাবে ত্যাগ করার উপায় , এবং সেইদিকে প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে আমাদের একটা প্রক্রিয়ার সন্ধান দিচ্ছেন।

সদগুরু  উপহার দিচ্ছেন  একটি নিত্য অনুশীলন ও  সাধনা যা আমাদের এই বিপদসংকুল  সময়কে পেরিয়ে যেতে সাহায্য করবে। 

কেন রুদ্রাক্ষ অন্য সমস্ত বীজের থেকে পৃথক এবং কীভাবে এটি এর ধারণকারীর জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ? এ সবেরই উত্তর দিচ্ছেন সদগুরু।

দিল্লীর এস আর সি সি কলেজের ছাত্ররা, “যুবসমাজ ও সত্য” অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরাসরি জানতে চাইলেন, সদগুরু কেন একটি নির্দিষ্ট ভঙ্গিতেই বসেন!