সদগুরু মহাভারতের কিছু ঘটনার দৃষ্টান্ত দিয়ে ধর্ম আসলে কী এবং কীভাবে ধর্মের পথে চলতে হয় তা বোঝাবার চেষ্টা করছেন।

সদগুরু দৃষ্টিপাত করছেন কীভাবে সঠিক প্রকারের রসায়ন তৈরী করে প্রেমময় হওয়া সম্ভব অথবা কীভাবে প্রেমময় হয়ে উঠলে সংশ্লিষ্ট রসায়নকে তৈরী করা সম্ভব।

এক কলেজ ছাত্রের প্রশ্নের উত্তরে সদগুরু সম্পর্ক ভাঙার পর কি করে এগিয়ে যেতে হয়- তা বলেছেন; বিষয়টিকে যোগের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন এবং একজনের জীবনে বৌদ্ধিক, মানসিক এবং শারীরিক অখণ্ডতা আনার গুরুত্বের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

স্বামী নিরাকারের 'ঈশা যোগা'-র সাথে প্রথম পরিচয় সেই ১৯৯২ সালে, প্রায় ৩০ বছর আগে। এতগুলো বছর ধরে সদগুরুর কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা যে কেমন,তা অনুভব করাতে তিনি আমাদের বেশ সুন্দর ভাবে সেই পুরনো দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

সদগুরু বলছেন, আনন্দের প্রকৃতি এমনই যে, সে যেন এক কূপ, ভিতর ভিতরই উৎসারিত হয়ে চলেছে।

মৃত্যুর কি কোন বিকল্প আছে? আমরা কীভাবে এবং কখন মারা যাব তা কি আমাদের হাতে রয়েছে? সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন ভৌতিক শরীরকে সচেতনভাবে ত্যাগ করার উপায় , এবং সেইদিকে প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে আমাদের একটা প্রক্রিয়ার সন্ধান দিচ্ছেন।

চলচ্চিত্র নির্মাতা কুনাল কোহলি সদগুরুর সাথে ভোপালে কথোপকথন করছিলেন। এখানে তারই এক উদ্ধৃতাংশ - যেখানে তাঁরা প্রেম, সম্পর্ক ও পরিবার নিয়ে কথা বলছেন।

আজকাল অনেকেই আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব পোষণ করেন কারণ এটাকে শোচনীয়ভাবে বেঁচে থাকার একটা উপায় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে, সদগুরু আধ্যাত্মিক হবার সঠিক অর্থ প্রকাশ করেছেন।

সদগুরু প্রেম এবং কামলালসার মধ্যে পার্থক্য করছেন এবং ব্যাখ্যা করছেন যে কিভাবে আমরা শারীরিকভাবে যত নিষ্ক্রিয় হয়ে উঠি, আমাদের শক্তি ঠিকমতো ব্যয় না হয়ে তা স্নায়ুরোগ হিসাবে প্রকাশ পায়।

সদগুরু জীবনের মাঝবয়সের সংকট নিয়ে একটি প্রশ্নের উত্তর দেন, এবং জীবন কীভাবে এক নিত্য পরিবর্তনের প্রক্রিয়া তা নিরীক্ষণ করেন।

সদগুরু সমস্ত সম্পর্কের মৌলিক ভিত্তি কি এবং কিভাবে তাদের সাথে জড়িত প্রত্যাশাগুলির মোকাবিলা করবেন তা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করছেন।

সদগুরু হাসি নিয়ে মর্মভেদী একটি জেন্ গল্প বলছেন এবং নিজের জীবনের মারাত্মক এক ঘটনার মাধ্যমে এর অর্থ ব্যাখ্যা করছেন।

সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন যে আজকাল উৎকণ্ঠা, নিরাপত্তাহীনতা এবং অবসাদের বাড়ন্ত মাত্রা আমরা যে সর্বত্র দেখতে পাই, তার অন্যতম কারণ হল আমাদের শরীর বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে।