সত্যের সাথে যুবসমাজ শীর্ষক আলোচনাচক্রে জনৈক ছাত্রের প্রশ্ন ছিল, বুদ্ধিমত্তা ও মজা উপভোগ করার মধ্যে কি কোনও বিরোধ আছে ? সদগুরু বলেন, যারা বুদ্ধিবৃত্তির আনন্দে মজে থাকে তাদের কাছে পার্টি বা পাবে যাওয়াটা খুব মজার কিছু নয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাদের জীবনে কোনও আনন্দের উপকরণ নেই –

সত্যের সাথে যুবসমাজের এক আলোচনাচক্রে, জনৈক ছাত্র সদগুরুকে প্রশ্ন করেন, কী কারণে একজন মানুষ ধর্ষণের মতো অমানবিক কাজ করার পথে চালিত হয় ? সদগুরুর ভাষায়, প্রজন্মগত এবং সাংস্কৃতিক বদল আজ যৌবনের চিন্তাকে লুঠ করেছে এবং এটি মূলত শারীরিক এবং মানসিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমেই আজ বেঁচে আছে | এ প্রসঙ্গে সদগুরু আরও বলেন, শুধুমাত্র শাস্তি দেওয়াকেই সমাধান না ভেবে, সময় এসেছে প্রকাশ্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের জীবনের কাহিনী পোস্ট করার মধ্যে এই মুহূর্তের মজা থাকলেও, কুড়ি বছর পরে আজকের পোস্ট, স্ন্যাপ ও গ্রাম’গুলিকে নিয়ে কী অনুভূতি হতে পারে তোমার ? সত্যের সাথে যুবসমাজ অনুষ্ঠানের মধ্যে জনৈক ছাত্রের প্রশ্ন ছিল, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের আবেগ প্রকাশের মাধ্যমে অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাওয়া কি ভুল ?

চিত্রনাট্য রচয়িতা ও পরিচালক নাগ অশ্বিনের প্রশ্ন ছিল তরুন সম্প্রদায়ের মধ্যে মদ্যপান ও ড্রাগের প্রতি আসক্তি বেড়ে যাওয়া নিয়ে। এহেন বিপথগামীতার বহুবিধ কারণ ব্যাখ্যা করে, তীব্র নেশার ফাঁদ থেকে কিশোর ও তরুণদের বার করে এনে জীবনের ভিন্নতর সুখের স্বাদ পাইয়ে দেওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় কী হতে পারে, তার বিশ্লেষণ করলেন সদগুরু -

একটি প্রশ্নের উত্তরে সদগুরু বললেন, জীবনকে দিশা দিতে আমাদের সময় ও শক্তিকে কোন অভিমুখে ব্যবহার করা উচিত, সেই সিদ্ধান্ত কীভাবে নিতে হয় -

সন্তানের জীবনে মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক কতটা প্রভাব বিস্তার করে, এটাই ছিল লক্ষ্মী মাঞ্চুর প্রশ্ন। একুশ বছর বয়সের পর সন্তানের জীবন মা-বাবার যাবতীয় কার্মিক প্রভাব মুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ নতুন ভাবে শুরু হওয়ার কথা, উত্তরে বললেন সদগুরু -

গল্পের ছলে নিজের কলেজ জীবনের কথা বলতে গিয়ে সদগুরু বোঝালেন, একটি প্রশ্নের অন্তর্নিহিত শক্তির কথা। উঠে এলো সত্যের সাথে যুবসমাজ কর্মসূচীর প্রাসঙ্গিকতা। তরুণ প্রজন্ম মানেই হল, অবিরত প্রশ্ন তুলে যাওয়া। একটি কথা মনে রাখা প্রয়োজন, শুধু প্রশ্ন করাই নয়, সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য নিজের জীবনকে সঠিক ভাবে প্রয়োগ করাও জরুরী, সদগুরুর পরামর্শ –

দিল্লীর এস আর সি সি কলেজের ছাত্ররা, “যুবসমাজ ও সত্য” অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরাসরি জানতে চাইলেন, সদগুরু কেন একটি নির্দিষ্ট ভঙ্গিতেই বসেন!

জাতীয় সঙ্গীতের সময় কি উঠে দাঁড়ানো উচিত? গৌতম গম্ভীরের প্রশ্নের উত্তরে আমাদের নাগরিক কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন সদগুরু

বিজ্ঞানের শাখায় পাঠরত জনৈক কলেজ ছাত্রের প্রশ্ন ছিল, কেন আজকের তরুণ প্রজন্ম যোগবিজ্ঞানের বিরোধী ? উত্তরে, যোগবিজ্ঞানের সঠিক সংজ্ঞা ও তার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করলেন সদগুরু –

বড় হয়ে ওঠার পথে তারুণ্যের আত্ম-সংশয় বা নিজের ভিতরে তৈরি হওয়া দ্বান্দ্বিক অনুভূতিকে অতিক্রম করার উপায় কী, রেজিনা কাস্যান্দ্রা জানতে চেয়েছেন সদগুরুর কাছে -

আবহমান কাল ধরে চলে আসা ভারতের বর্ণপ্রথার অন্তরালে থাকা সত্যটা কী এবং কীভাবে আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিকরণ ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করা যায় ? বীরেন্দ্র সহবাগের প্রশ্ন সদগুরুর কাছে –

দিল্লীর এস আর সি সি কলেজের ছাত্রদের প্রশ্ন ছিল, আদিযোগীর প্রতিমূর্তিটি বিশালাকৃতি করার পিছনে কি কোনও কারণ আছে ? অবয়বের ক্ষুদ্রাকৃতি বা বিশালতা নির্ভর করে যে দেখছে তার বোধ বা অনুভূতির উপর, কিন্তু আদিযোগীর জ্যাতিমিক রূপ-নকশাটি তৈরি হয়েছে জীবনের তিনটি মাত্রাকে প্রতিফলিত করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, সদগুরুর বিশ্লেষণ –

জনৈক ছাত্রের প্রশ্নের উত্তরে, আমাদের আকাঙ্ক্ষার প্রকৃতির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, মানবিক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ বিকশিত করতে কী করা প্রয়োজন – বিশ্লেষণ করেছেন সদগুরু